স্ব-ক্যালিব্রেশন
সাধারণ ক্যালিব্রেশনে ডিডিই গুলো নির্ণয় করা হয় একটি ক্যালিব্রেশন উৎস পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে। কিন্তু এতে বেশ কিছু সমস্যা আছে:
- টার্গেট যখন পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে তার তুলনায় একটি ভিন্ন সময়ে ডিডিই গুলো নির্ণয় করা হয়েছিল। কিন্তু পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ও আয়নমণ্ডল সময়ের সাথে পরিবর্তনশীল। ডিআইই গুলোও সময়ের সাপেক্ষে পরিবর্তনশীল হতে পারে।
- ক্যালিব্রেশন উৎস অবশ্যই টার্গেট উৎসের জায়গায় থাকে না। সুতরাং ডিডিই নির্ণয় করা হয়েছিল একটি ভিন্ন দিকে। কিন্তু ট্রোপোমণ্ডল ও আয়নমণ্ডল সুষম নয়, একেক দিকে একেক রকম। তাই সেখানেও ত্রুটি থেকে যায়।
এ থেকে মুক্তির জন্য সেল্ফ-ক্যালিব্রেশন তথা স্ব-ক্যালিব্রেশন ব্যবহার করা হয়। এক্ষেত্রে ক্যালিব্রেশন উৎসের বদলে টার্গেট উৎসের স্থানে ও কালে স্থির একটি মডেলকে ক্যালিব্রেশনের জন্য ব্যবহার করা হয়। এর সুবিধা হচ্ছে:
- ডিডিই ও আইডিই সঠিক সময়ে নির্ণয় করা হয়। ভিন্ন সময়ে নির্ণয় করে সেটাকে ইন্টারপোলেশন করা হয় না।
- এগুলো এমনকি সঠিক দিকেও নির্ণয় করা হয়, একেবারে উৎসের দিকে।
- অনেকগুলো বেসলাইন থাকলে ইউভি তল ভালভাবে স্যাম্পল করা যায় যে কারণে স্ন্যাপশট ইমেজিং এর মাধ্যমে ক্যালিব্রেশন বেশ রোবাস্ট হয়ে থাকে।
কিন্তু অসুবিধা হচ্ছে এখানে প্রকৃত উৎসের বদলে উৎসের একটি স্থির মডেল বিবেচনা করা হয়। মডেল কখনোই পুরোপুরি ঠিক হতে পারে না। যত বেঠিক হবে ডিডিই ও আইডিই-র মান তত ত্রুটিপূর্ণ হবে। স্ব-ক্যালিব্রেশনের মৌলিক অনুমিতিটিকে সমীকরণের মাধ্যমে এভাবে লেখা যায়:
- <math>E_p(t,l) \equiv E_p(l) \equiv E(l)</math>
এখানে E হচ্ছে সকল ডিডিই। সমীরণটি বোঝাচ্ছে, সকল সময় (t) এবং এন্টেনার (p) জন্য ডিডিই একই। যে ডিডিই গুলো এই শর্ত পূরণ করে তাদেরকে ট্রিভিয়াল ডিডিই বলা হয়।
এই অনুমিতিগুলো যে সকল ক্ষেত্রে যৌক্তিক সেগুলো হচ্ছে:
- সরু দৃষ্টিপট, যাতে ডিডিই গুলো দৃষ্টিপটের কেন্দ্রে থেকে বাইরের দিকে দ্রুত শূন্যের কাছাকাছি চলে যায়। এতে পরিবর্তনের সুযোগ খুব কম।
- ছোট অ্যারে, যাতে w এর মান কম হয়, এতে সকল এন্টেনার উপর সমপরিমাণ বায়ুমণ্ডল থাকে।
- উচ্চ কম্পাঙ্ক, এতে দৃষ্টিপট ছোট হয়।
- সমতলীয় অ্যারে, যাতে w এর মান শূন্য হয়
